রাজধানীর মতিঝিলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রধান কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর এবং চেয়ারম্যানসহ কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে মধ্যরাত ১টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির সদস্যসহ ৫০-৬০ জন কর্মকর্তা ও কর্মী প্রধান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন আইডিআরএ এর চেয়ারম্যান জয়নাল বারী।
চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে ‘ভুক্তভোগী সকল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মাঠকর্মীরা’ ব্যানারে কয়েকশ ব্যক্তি মতিঝিলে সাধারণ বীমা টাওয়ারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ এর কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
সকাল থেকে তারা ভবনের সামনে অবস্থান নেয় এবং দুপুরের পর সংস্থার কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর ও হামলা করে সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
বিক্ষোভ চলাকালে হামলার ঘটনায় দুইজন আহত হন। তাদের একজনের মাথা ফেটে গেছে বলে জানিয়েছেন অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা।
আইডিআরএর একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, আইডিআরএর কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি ও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রতিনিধিরা আইডিআরএর একটি কক্ষে বৈঠক করছে।
দীর্ঘ আলোচনার পর আইডিআরএ চেয়ারম্যান ‘সোনালী লাইফ থেকে প্রশাসক উঠিয়ে নেবেন’ এমন আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা চলে যেতে সম্মত হন বলে এক কর্মকর্তা রাত ১টার পরে জানান।
সব ইন্স্যুরেন্সের মাঠকর্মীদের ব্যানারে বিক্ষোভ হলেও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এজেন্ট ও কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ আইডিআরএ এর চেয়ারম্যান জয়নাল বারীর।
তিনি বলেন, "সোনালী লাইফের কর্মীরা এসে এখানে ভাঙচুর ও হামলা চালিয়েছে। তারা পুরো আইডিআরআরএকে অবরুদ্ধ করেছে। দুপুর থেকে আমরা এখানে আটকে আছি।"
কর্মকর্তরা বলেন, সকাল থেকেই আইডিআরএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের দাবি ছিল বর্তমান চেয়ারম্যানের পদত্যাগ। এরপর দুপুর দুইটার দিকে রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীরা দলবেধে আইডিআরএর অফিসে ঢুকে পড়ে এবং ভাংচুর চালায়।
এরপর আইডিআরএর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে জানায়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ”সকাল বেলায় অফিসে এসেছি। আর এখনও অফিস থেকে বের হতে পারছি না। সোনালী লাইফের এসব লোকজন আক্রমণ করে দুইজনকে আহত করেছে।“