সমন্বিত সামাজিক বীমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ভিয়েতনামের শ্রম, প্রতিবন্ধী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদলের মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
গত ২১-২৭ এপ্রিল ভিয়েতনামে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদলের সফরকালে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার মডেল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এ সভায় আরো অংশ নেন ভিয়েতনামের কুয়ান নিন প্রদেশ সরকার, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার হ্যানয়স্থ কার্যালয়, ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও দেশটির সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রধানরা।
মতবিনিময়সভায় মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেছেন, ‘সামাজিক বীমার মাধ্যমে নাগরিকদের কল্যাণ নিশ্চিতে ভিয়েতনাম অনবদ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে ভিয়েতনামের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ সফরের মাধ্যমে আমাদের অর্জিত জ্ঞান আরো বড় পরিসরে গবেষণা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে সাহায্য করবে।
’
ভিয়েতনামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাংলাদেশের সমন্বিত সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক প্রশংসা করেন। তাঁরা উভয় দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় অব্যাহত রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সরকারি এই সফরের সময় মন্ত্রিপরিষদসচিব ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল হ্যানয়স্থ হো চি মিন মাওসোলিয়াম পরিদর্শন করেন এবং ভিয়েতনামের মহান নেতা হো চি মিনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত একটি খাত হিসেবে ২০১৫ সালে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএসএস) প্রণয়ন করে সরকার।
দারিদ্র্য ও ঝুঁকি মোকাবেলায় জীবনচক্রভিত্তিক সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে তোলা এ কৌশলের প্রধান লক্ষ্য। ইতিমধ্যে এর আওতায় কর্মজীবীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়। তা ছাড়া বেকারত্ব, দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ব ও অসুস্থতাঝুঁকি নিরসনে সমন্বিত সামাজিক বীমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের উত্তম চর্চা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।