ঢাকা || ২১ নভেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চিকিৎসা ব্যয় ঢাকায়

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চিকিৎসা ব্যয় ঢাকায়

ডেইলি স্টার

প্রকাশিত: ২১:০৯, ৮ নভেম্বর ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন জাহাঙ্গীর আলম। জানানো হয়, তার ডান পা কেটে ফেলতে হবে। পা বাঁচাতে ঢাকায় আসেন তিনি। রাজধানীতে চিকিৎসা নেওয়ায় শেষরক্ষা হয় তার।


তবে চিকিৎসা খরচ চালানো বা পা রক্ষার কোনোটাই সহজ ছিল না জাহাঙ্গীরের। গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামে ইটবোঝাই ট্রাক তাকে চাপা দেয়। সেই দিনের আগে তার জীবন যে স্বাভাবিক ছন্দে চলেছিল তা আবার ফিরে আসবে এমন নিশ্চয়তা নেই।

চট্টগ্রাম ইপিজেডে এক পোশাক কারখানায় কাজ করেন ৩৮ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর। বাড়ি বাগেরহাটে। দুর্ঘটনার পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার পক্ষে আত্মীয়দের নিয়ে চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। তাই চলে আসতে হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এটি তার গ্রামের বাড়ির কাছে।

তবে এর সুফল পাননি জাহাঙ্গীর। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।

ঢাকার আগারগাঁওয়ে এক বস্তিতে টিনশেডের ছোট ঘরের বিছানায় শুয়ে জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খুলনা মেডিকেলে আমার যথাযথ চিকিৎসা হয়নি। এমনকি চিকিৎসকরা আমার পা কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।'


জাহাঙ্গীর এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন শেরেবাংলা নগরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশনে (নিটোর)। পঙ্গু হাসপাতাল নামে এটি বেশি পরিচিত। নয় বাই ছয় বর্গফুটের ভাড়া ঘরে থেকে তিনি চিকিৎসা-পরবর্তী ফলোআপ করছেন।


ঢাকার সরকারি হাসপাতালগুলোয় রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় সেসব হাসপাতালের কাছাকাছি থাকতে রোগীদের এমন খুপড়িঘর খুঁজে নিতে হয়। তুলনামূলক ভালো চিকিৎসার আশায় রোগীরা সাধারণত ঢাকায় ছুটে আসেন।

চিকিৎসার অভাবের পাশাপাশি রোগীদের এই দুর্দশার সুযোগ নিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোর আশেপাশে গড়ে উঠেছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাবঞ্চিত অনেক রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এটি রোগী ও তাদের পরিবারের আর্থিক সংকট আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

যেমন, জাহাঙ্গীর ইতোমধ্যে চিকিৎসার জন্য দুই লাখ টাকার বেশি খরচ করেছেন। পোশাক কারখানা থেকে এককালীন নগদ সহায়তা পাওয়ার জন্য তাকে চাকরি ছাড়তে হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে—সুই, সুতা, প্লেট, রড ও স্ক্রুসহ বেশকিছু সামগ্রীর সংকট থাকায় চিকিৎসা খরচ বেড়ে গেছে।

ছেলের সার্বক্ষণিক পরিচর্যায় থাকা ৬০ বছর বয়সী মা জাহানুর বেগম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রথমে জানতাম না অস্ত্রোপচারের যন্ত্রপাতি কোথায় পাওয়া যায়। হাসপাতালের কর্মচারী ও অন্যান্যরা হয়ত দালাল হবে, হাসপাতালের পাশের দোকানে যেতে বলেন।'

'পরে ওই দোকান থেকে জিনিস কিনি। ওখানে সবকিছুই পাওয়া যায়। আমাদের কাছে যত টাকা ছিল প্রায় পুরোটাই খরচ হয়ে গেছে।'

তার কথায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে কেন তারা পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও বস্তিতে ঘর ভাড়া নিয়েছেন।

মা-ছেলের কথায় জানা যায়, বাগেরহাট থেকে ঢাকায় আসতে প্রতিবার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আট হাজার টাকা খরচ হয়। কতবারই বা এত টাকা খরচ করা যায়?

জাহাঙ্গীর বলেন, 'হাসপাতাল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে এই বস্তিতে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। প্রতি রাতের জন্য ভাড়া ২০০ টাকা। কাছাকাছি হোটেল থেকে খাবার কিনি।'

ঢাকায় ১৫ দিনের বেশি থাকতে হলে বস্তিতেই রান্না শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

অন্য হাসপাতালের রোগীদের জন্যও থাকার ব্যবস্থা
আগারগাঁও ও শেরেবাংলা নগরে প্রায় অর্ধডজন বড় সরকারি হাসপাতাল আছে।

সেই এলাকায় অস্থায়ীভাবে থাকার কারণ বেশিরভাগ হাসপাতালে পর্যাপ্ত নার্স ও ওয়ার্ড বয়ের অভাব। রোগীর পরিচর্যার আত্মীয়দের থাকতে হয়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মীয়রা রোগীর পরিচর্যার কাজ করে থাকেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যসেবা প্রায় পুরোপুরি ঢাকা-কেন্দ্রিক হওয়ায় সারা দেশ থেকে এই শহরে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। দেশের অন্যান্য জায়গায় ন্যূনতম চিকিৎসা সুবিধাও পাওয়া যায় না। ফলে রাজধানীর হাসপাতালগুলোয় রোগীর সেবার জন্য আসা আত্মীয়দের থাকার সমস্যা দেখা দেয়।

ঢাকার অন্য হাসপাতালেও চিকিৎসাকর্মীর সংকট। তাই বিছানা ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা জমজমাট।

ঢাকার মহাখালীতে আছে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ও হাসপাতাল (এনআইসিআরএইচ) ও কলেরা হাসপাতাল (আইসিডিডিআর,বি)। এই এলাকার কাছাকাছি সরকারি কর্মচারী কোয়ার্টার ও আশেপাশে কমপক্ষে ৪০ ভবনে 'বিছানা ভাড়া'র ব্যবসা গজিয়ে উঠেছে।

ক্যানসার হাসপাতালের কোনো রোগীর কেমোথেরাপির দরকার হলে তাকে দীর্ঘদিন ঢাকায় থাকতে হয়।

শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) ঘিরে সেখানে ডজনখানেক হোটেল ও আবাসিক ভবন 'গেস্ট হাউসে' হয়ে গেছে। বাংলামোটরে রোগীদের ৫০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকায় রুম ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।

পান্থপথ, গ্রিন রোড ও ধানমন্ডিতে রোগীদের থাকার জন্য কয়েক ডজন ছোট ও মাঝারি হোটেল আছে। বাসায় রান্নাঘর থাকলে রুম ভাড়া রাতপ্রতি এক হাজার ২০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত হয়।

আগারগাঁওয়ে বস্তির যে কক্ষে জাহাঙ্গীর এখন থাকছেন তার মালিক দ্বীন মোহাম্মদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জানি, সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও আমি মানসম্মত সেবা দিতে পারছি না।'

বস্তির এক সরু গলি ধরে সেখানে যেতে হয়। পাঁচ কক্ষের ঘরে নেই আসবাবপত্র। প্রতি কক্ষে দুটি বিছানা, একটি সিলিং ফ্যান ও বাল্ব।

দ্বীন মোহাম্মদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেই বস্তিতেই থাকেন। বলেন, 'বুঝতেই পারছেন, প্রতিদিন লোক পাই না। অনেক রুম বেশিরভাগ সময় খালি থাকে। ভাড়াটিয়াদের অনেকে ভাড়া না দিয়েই চলে যান।'

'ভাড়া বাবদ নিই ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। এটা নির্ভর করে অতিথির সংখ্যার ওপর। মানসম্মত সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।'

প্রতি কোণায় ক্লিনিক
ঢাকার যেকোনো সরকারি হাসপাতালের চারপাশে প্রচুর সংখ্যক বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ব্লাড ব্যাংক ও ফার্মেসি গড়ে উঠেছে।

এটা শুনে বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে যে—সরকারি সুযোগ-সুবিধায় স্বাস্থ্যসেবা, রোগ নির্ণয় ও ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হলে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে থাকবে কীভাবে?

যেকোনো সরকারি সুবিধায় রোগ নির্ণয় পরিষেবাগুলো সরকারি হিসাবে চব্বিশ ঘণ্টা পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল বা ঢাকা মেডিকেলে কর্মী সংকটের কারণে প্রতিদিন দুপুরের পর যন্ত্রগুলো অলস পড়ে থাকে।

সরকারিভাবে এসব পরিষেবা ঠিক মতো পাওয়া যায় না বলে রোগীদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটতে হয়।

যেসব রোগী বেসরকারি হাসপাতালে বা ক্লিনিকে যাওয়ার সামর্থ্য রাখেন বা সরকারি হাসপাতালে রোগীর ভিড় এড়িয়ে চলতে চান তারাই সেখানে যান।

অনেক ক্ষেত্রে ক্লিনিকগুলোয় রোগী টানতে দালাল থাকে। অনেক সময় নার্স ও ওয়ার্ড বয়রাও রোগীদের ক্লিনিকে নিয়ে আসেন কমিশনের লোভে।

এর পরিণতি কখনো কখনো মারাত্মক হয়।

যেমন ধরা যাক পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সোনিয়ার কথা। তিনি গত অক্টোবরের প্রথম দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। তাকে সেখানকার গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। অনেক রোগী থাকায় দুই জনকে বেড ভাগাভাগি করতে হয়।

সংকটাপন্ন অবস্থা বা ভদ্রভাবে থাকা যাচ্ছে না বলে সোনিয়াকে পাশের ক্লিনিকে নিয়ে যান এক নার্স। ক্লিনিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।

'কাকে বাঁচাব, মা না বাচ্চা?'—সোনিয়ার স্বামীকে এমন সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা বলা হয়। কারণ তার স্ত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ওই রাতেই সোনিয়াকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা-সন্তানকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতাল বাণিজ্য
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শুরু করে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল বা মহাখালীর আইসিডিডিআর,বি থেকে শেরেবাংলা নগরের পঙ্গু হাসপাতালের সামনের ফুটপাতগুলো 'ছোট বাজার' হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে রোগী ও তাদের পরিচারকদের ঢাকায় থাকার প্রায় সব উপকরণ পাওয়া যায়।

ফুটপাতের ওপর শত শত দোকান, ভাতের হোটেল, সার্জিক্যাল শপ ও ফার্মেসি।

পঙ্গু হাসপাতালের সামনে দোকান মালিক ইয়ামিন হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোগী ও তার স্বজনদের থাকার জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের পণ্য আমাদের কাছে আছে।'

তার দোকানে আছে বালিশ, কম্বল, প্লাস্টিক পণ্য, কাঁচি-ছুরি, বৈদ্যুতিক পাখা, শপিং ব্যাগ, বাচ্চাদের জিনিসপত্র, রান্নার সামগ্রী ইত্যাদি।

দোকান সবসময়ই খোলা থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি আর বাবা-মা এখানে থাকি।'

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের এক রোগীর পরিচারক ইকবাল হোসেন ট্রাভেল ব্যাগ কিনতে দোকানে এসেছিলেন। গত সপ্তাহ থেকে তার মা এখানে ভর্তি।

ইকবাল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এসব ভাসমান দোকানে জিনিসের দাম ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি নিলেও প্রায় সবই পাওয়া যায়।'

পাশের সার্জিক্যাল পণ্যের দোকান মালিক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, তিনি গত এক দশক ধরে সেখানে ব্যবসা করছেন।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অস্ত্রোপচারের বেশির ভাগ জিনিসই কম দামে বিক্রি করি। এসব পণ্য কিনতে রোগীদের অন্য কোথাও যেতে হয় না।'

বেশি খরচে খারাপ চিকিৎসা
২০০৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্যখাতে খরচ করেছে পাঁচ হাজার ১০৪ কোটি টাকা। ২০০৯-১০ অর্থবছরের মোট বাজেটের ছয় শতাংশ।

এরপর থেকে ক্রমাগত এই খাতে সরকারের প্রকৃত খরচ কমেছে।

দেশি-বিদেশি গবেষণায় দেখা গেছে, জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কম থাকায় গত কয়েক বছরে চিকিৎসা খরচ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালে চিকিৎসায় খরচ বেড়ে যাওয়ায় ৬১ লাখ বাংলাদেশি বা জনসংখ্যার তিন দশমিক সাত শতাংশ দারিদ্র্যে পড়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, দেশের প্রায় ৬১ শতাংশ মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে আর্থিক সমস্যায় পড়েন।

বিআইডিএসের গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলে পরিবারকে গড়ে ৫৫ হাজার ১৩৪ টাকা খরচ করতে হয়। এর প্রায় ৫৪ শতাংশ যায় ওষুধের পেছনে।

বিআইডিএসের রিসার্চ ফেলো আব্দুর রাজ্জাক সরকার 'ক্যাটাস্ট্রফিক হেলথ শক অ্যান্ড ইমপোভারিশমেন্ট ইন বাংলাদেশ: ইনসাইট ফ্রম এইচআইইএস ২০২২' শীর্ষক এই গবেষণা পরিচালনা করেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোগ নির্ণয়ে পর্যাপ্ত সুবিধার অভাব ও চিকিৎসকরা নির্বিচারে ওষুধ দেওয়ায় সরকারি হাসপাতালের আশপাশে গড়ে উঠেছে বিপুল সংখ্যক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসি।'

সরকারি হাসপাতালে প্রায়ই দক্ষ জনবল ও তহবিল সংকট দেখা যায় বলেও জানান তিনি।

সব শ্রেণির রোগীর বাড়তি খরচের প্রায় ৫৪ শতাংশ খরচ হয় ওষুধের পেছনে।

বাকি ২৭ দশমিক ৫২ শতাংশ খরচ হয় রোগ পরীক্ষায়, ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ পরামর্শে ও সাত দশমিক ৭৭ শতাংশ পরিবহনে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খরচ তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, '১৯৯৭ সালে বাংলাদেশিদের স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়তি খরচ ছিল ৫৬ শতাংশেরও কম।'

২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ শতাংশে। এটি আফগানিস্তানের পর দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।