দৈনিক পত্রিকা ও টেলিভিশনের ১৯ জন সাংবাদিক ‘ইআরএফ–নগদ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ পুরস্কার পেয়েছেন।
অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) সেরা প্রতিবেদনের জন্য এই পুরস্কার দিয়েছে। এতে পৃষ্ঠপোষকতা করে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননার চেক তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
এ বছর মোট ১৭টি ক্যাটাগরি বা শ্রেণিতে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার ১৫ জন এবং টেলিভিশনের ৪ জন প্রতিবেদক পুরস্কার পেয়েছেন।
প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার বিভিন্ন শ্রেণিতে পুরস্কার পাওয়া সাংবাদিকেরা হলেন প্রথম আলোর ফখরুল ইসলাম; জাহাঙ্গীর শাহ; রাজীব আহমেদ এবং আরিফুর রহমান; দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি ওবায়দুল্লাহ রনি; দ্য ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আহসান হাবীব; ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি দৌলত আক্তার মালা; দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি জেবুন নেসা ও নিজস্ব প্রতিবেদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ; ইউএনবির বিশেষ প্রতিনিধি সদরুল হাসান; শেয়ারবিজের নির্বাহী সম্পাদক ইসমাইল আলী; ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মো. শফিকুল ইসলাম; আমাদের সময়ের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জিয়াদুল ইসলাম ও দৈনিক কালবেলার বার্তা সম্পাদক রাজু আহমেদ।
টেলিভিশন মাধ্যম থেকে বিভিন্ন শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছেন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি বাবু কামরুজ্জামান, একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইকবাল আহসান ও যমুনা টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তৌহিদ হোসেন পাপন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অন্যান্য সময়ের সরকার বদলের মতো বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার দায়িত্বে আসেনি। যেসব চ্যালেঞ্জ আমরা এখন মোকাবিলা করছি, সেগুলোর সমাধান করা যাবে না এমন নয়। আমরা মানুষের ভালোর জন্য একটা পদচিহ্ন রেখে যাওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে পরবর্তী সরকার এ সংস্কার কাজকে আরও এগিয়ে নিতে পারে।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের সরকারের ভুল-ত্রুটি ইতিবাচকভাবে ধরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা ভুল-ত্রুটি ধরবেন; তবে সেই সঙ্গে ভুল সংশোধনের দিকনির্দেশনা ও ইতিবাচক জিনিসগুলো যেন থাকে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে তাঁরা কাজ করছেন। এমএফএস প্রতিষ্ঠান নগদের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘নগদে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে, যা দরকার ছিল। প্রতিষ্ঠানটিতে সুশাসনের যে ঘাটতি ছিল, সেটি কাটাতে আমরা কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানটির কাজের স্বচ্ছতা ও মালিকানা নিয়ে যেন প্রশ্ন না থাকে এবং মানুষ যেন ভবিষ্যতে সেখানে স্বচ্ছন্দে বিনিয়োগ করতে পারেন, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ইআরএফের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নগদের চেয়ারম্যান খান আহমেদ সাঈদ মুরশিদ ও প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার, ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম প্রমুখ।