মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং, পেমেন্ট এবং ফিনটেক খাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ‘লিডিং বাই রেজিলিয়েন্স’ অর্থ্যাৎ ‘সহনশীলতার মাধ্যমে নেতৃত্ব’ শিরোনামে এবারের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের ষষ্ঠ সংস্করণ।
আর্থিকখাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করতে, মাস্টারকার্ড ২০১৯ সাল থেকে এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করে আসছে। ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণে উৎসাহিত করার মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং গ্রাহকদের মধ্যে ডিজিটাল-ফার্স্ট আচরণ গড়ে তোলা এই পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গেস্ট অব অনার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন তৃষিতা মওলা। এছাড়াও ছিলেন দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক, ফিনটেক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা।
একটি শক্তিশালী ডিজিটাল অর্থনীতি গঠনে অবদান রাখার পাশাপাশি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণের জন্য মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয়েছে। এবার ১৮ টি ক্যাটাগরিতে মোট ২৬টি বিজয়ী প্রতিষ্ঠানসমূহকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশে মাস্টারকার্ড তাদের কার্যক্রম শুরু করে এবং প্রথম আন্তর্জাতিক পেমেন্ট অপারেটর হিসেবে ২০১৩ সালে দেশে অফিস প্রতিষ্ঠা করে। এই সময়ের মধ্যে, বিশ্বমানের প্রোডাক্ট ও সমাধানের মাধ্যমে পেমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিকে রূপান্তরিত করে বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে কোম্পানিটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করেছে।
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, “মাস্টারকার্ড বাংলাদেশে ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক, ফিনটেক এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে পেরে গর্বিত। কেননা এসব প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী একটি ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেম গঠনের আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশের ডিজিটাল ফাইন্যান্সের অগ্রগতিতে সহায়ক হওয়ায়, এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে মাস্টারকার্ড এসব প্রতিষ্ঠানের অসামান্য অবদান এবং সাফল্য উদযাপন করতে পেরে গর্বিত।”